নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক উন্নতি পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ডেটা সংরক্ষণ, কারিকুলাম বিষয়ে যতœবান হওয়া এবং সেল্ফ এসেসমেন্ট রিপোর্ট তৈরি করা যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সংশ্লিষ্ট সকলকে জানতে হবে কীভাবে সুনিপুণভাবে ডেটা সংগ্রহ করতে হয়, কারিকুলাম কীভাবে তৈরি করতে হয়, সিলেবাস পর্যালোচনা-পরিবর্ধন-পরিবর্তন কখন কীভাবে করতে হয়, কীভাবে সেল্ফ এসেসমেন্ট করতে হবে। এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই গতকাল বৃহস্পতিবার শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির আইকিউএসি (Institutional Quality Assurance Cell)-এর উদ্যোগে উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়েটিভ হাব-এ দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি বিভাগের প্রত্যেক বিভাগ থেকে এসএ কমিটির বিভাগীয় প্রধান ও আরো দু’জন সদস্যসহ তিনজন করে মোট ৩৬ জন এবং আইকিউএসি (Institutional Quality Assurance Cell) থেকে মোট ৬ জন অংশ গ্রহণ করেন। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর এইচইকিউইপি, কিউএইউ’র প্রধান অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী। অংশগ্রহণকারী বিভাগগুলো হলোÑএফডিটি, এএমএমটি, ডিবিএ, ইংরেজি, জিডিএম, আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার, সিএসই এন্ড সিএসআইটি, এসওএ, ল, ফাইন আর্ট এবং মিউজিক।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারার স্থপতি হোসনে আরা রহমান, সরকার এবং রাজনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং আইকিউএসির পরিচালক প্র. ড. ইয়াসমিন আহমেদ, আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক প্রমুখ। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজি মো. মফিজুর রহমান কিছু সময়ের জন্য এসে সকলকে উৎসাহিত করেন।
অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী তার বক্তব্য প্রজেক্শনের মাধ্যমে তুলে ধরেন ও সাথে সাথে ব্যাখ্যা করেন। তিনি ডেটা ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব ও এর সুদূরপ্রসারী সুফল তুলে ধরেন এবং ব্যাখ্যা করেন কীভাবে ডেটা সংগ্রহ করতে হবে। যে সমস্ত শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে ভর্তি হলো তাদের বর্তমান অবস্থার ডেটা সংগ্রহ করলে পরবর্তীতে তাদের উন্নতি কতটা হলো তা মূল্যায়ন করা সহজ হবে। কীভাবে এই ডেটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে সে বিষয়েও বিশদ আলোচনা করেন তিনি। তিনি কারিকুলাম বিষয়েও আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, আপনাদের সবাইকে শিক্ষার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। কারিকুলাম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কারিকুলাম বিষয়ে পর্যালোচনাকে তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, কারিকুলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারিকুলাম ৪ বছর পর পর পরিবর্তন করতে হবে। তবে এর মধ্যেও এলামনাই, শিক্ষার্থী এবং অন্য শিক্ষকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো বিষয়কে পুরাতন বা সময়োপযোগী মনে না হয় তবে তা বাতিল করা যাবে। আবার যদি সাম্প্রতিক কোনো গবেষণা বা কোনো বিষয় যদি পড়ানো জরুরি বলে মনে তবে অবশ্যই তা আলোচনা সাপেক্ষে সিলেবাসে অবশ্যই সংযোজন করা যাবে। তবে অবশ্যই এই পরিবর্তন হতে হবে সমাজের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে। ইচ্ছে মতো পরিবর্তন করলে চলবে না।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন ও প্রশ্নোত্তর পর্বের পর পরই ব্যবহারিক পর্ব শুরু হয়। এ পর্বও পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী। প্রত্যেক বিভাগের অংশগ্রহণকারী সদস্যগণ আলাদাভাবে তাদের রিপোর্ট তৈরি করেন এবং সবার সামনে তা উপস্থাপন করে দেখান।
উল্লেখ্য, এসএ কমিটি মানে সেল্ফ এসেসমেন্ট কমিটি। এই কমিটি গঠনের ব্যাপারে ইউজিসির একটি বিশেষ ভূমিকা ও নির্দেশনা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর কিউএইউ’র এইচইকিউইপি’র অধীনে আইকিউএসির তত্ত্বাবধানে এই এসএ কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাইভেট-পাবলিক দুই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়েই এসএ কমিটি রয়েছে। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এসএ কমিটি। ইউজিসি তথা এসএ কমিটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন, শিক্ষকদের শিক্ষাদান ক্ষমতা ও অন্যান্য উন্নয়ন এবং সামগ্রিকভাবে ডিপার্টমেন্টগুলো যাতে আন্তর্জাতিক মানে নিজেদের উন্নীত করতে পারে, সে ব্যাপারে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঈধঢ়ঃরড়হ
গতকাল বৃহস্পতিবার শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির আইকিউএসি-এর উদ্যোগে উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়েটিভ হাব-এ দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি বিভাগের প্রত্যেক বিভাগ থেকে এসএ কমিটির বিভাগীয় প্রধান ও দুজন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর এইচইকিউইপি, কিউএইউ’র প্রধান অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী।